এসইও এর নাম কম বেশি সবাই শুনেছেন কিন্তু অনেকে মনে করেন কাজটা বোধহয় অনেক কঠিন। এটা করতে অনেক সময় লাগে এবং প্রসেসটা দীর্ঘ কিন্তু ভাল ভাবে বুঝতে পারলে এসইও এর কাজটা অনেক সহজে করা যায় ।
এসইও (SEO)
এসইও এর পূর্ণরুপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (Search Engine Optimization)। সার্চ ইঞ্জিনের বাংলা করলে আমরা পাই খোঁজার যন্ত্র । কোন কিছু নেট (Net) থেকে খুঁজে পেতে হলে আমরা যার সাহায্য নিয়ে খুজি তাকে সার্চ ইঞ্জিন বলে। যেমনঃ গুগল, বিং, ইয়াহু ইত্যাদি এর মাধ্যমে আমরা অন-লাইনে (On-Line) অনেক তথ্য খুঁজে থাকি তাই এগুলোকে সার্চ ইঞ্জিন বলা হয়। সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুলো হল গুগল, বিং, ইয়াহু কারন এগুলার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সার্চ হয় পুরা দুনিয়া জুড়ে।তবে গুগলই সার্চের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান হল, সার্চ ইঞ্জিনে ফ্রি (Free), অরগানিক (Organic), এডিটোরিয়াল (Editorial) বা নেচারাল (Natural) ফলাফল অনুসন্ধান।
প্রকারভেদঃ এসইও মুলত দুই প্রকার বলা যায়ঃ
১। পেইড (Paid) এসইও
এটার মাধ্যমে ওয়েবসাইটাকে খুব দ্রুত গুগলের ফ্রন্ট পেজের টপে (Top) নিয়ে আসা যায় । এই ধরনের এসইও টাকা দিয়ে করা হয় গুগল অ্যাডওয়ার্ডস (Google adwords) এর মাধ্যমে।
২। অরগানিক (Organic) এসইও
এটা একটা ফ্রী ও খুব দীর্ঘ প্রসেস। ওয়েবসাইটকে গুগলের ফ্রন্ট পেজে (Front Page) নিয়ে আসতে অনেক সময় লাগে। প্রসেসটা দীর্ঘ। কিন্তু এটা ফ্রী হওয়ার কারনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বা ক্লাইন্টের ওয়েবসাইটে খুব সহজে ভিসিটর (Visitor) নিয়ে আসতে পারবেন।
প্রসেসঃ
এখন প্রশ্ন হচ্ছে অরগানিক (Organic) বা ফ্রী এসইও আমার কিভাবে করব। এটা করার দুইটা ধাপ হচ্ছে।
১। অন-পেজ অপ্টিমাইজেশান (On-Page Optimization)
→ কী-ওয়ার্ড রিসার্চ (Key-Word Research)
→ মেটা ট্যাগস (Meta Tags)
→ হেডার ট্যাগস (Header Tags)
→ ইমেজ অপ্টিমাইজেশান (Image Optimization)
→ হেডার ট্যাগস (Header Tags)
→ ইমেজ অপ্টিমাইজেশান (Image Optimization)
→ সাবমিট টু সার্চ ইঞ্জিন (Submit to Search Engine)
→ সাইটম্যাপ ক্রিয়েশন + সাবমিসন (Sitemap Creation + Submission)
→ (গুগল + বিং = ওয়েবমাস্টার + এনালাইটিক) (Google + Being = Webmaster + Analytics)
→ ইউনিকিউ কন্টেন্ট (Unique Content)
→ ইউনিকিউ কন্টেন্ট (Unique Content)
২। অফ-পেজ অপ্টিমাইজেশান (Off-Page Optimization)
→ডু ফলো ব্যাকলিংক (Do Follow Backlink)
→ সোশ্যাল বুকমারকিং (Social Bookmarking)
→ সোশ্যাল শেয়ার (Socail Share)
→ ডিরেকটরি সাবমিসন (Directory Submission)
→ ডিরেকটরি সাবমিসন (Directory Submission)
→ ফোরাম পোস্টিং (Forum Posting)
→আর্টিকেল সাবমিসন (Article Submission)
→ লিংক এক্সচেঞ্জ ( Link Exchange)
→ লিংক এক্সচেঞ্জ ( Link Exchange)
→ গেস্ট ব্লজ্ঞিং (Guest Blogging)
(→ চলবে........)